ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

শেওলা-শাপলা আচ্ছাদিত হারবাং বড়বিল

চকরিয়ার হাঁটু পানিতে মিলল ১৪ কেজি ওজনের চিতল মাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  শেওলা-শাপলা আচ্ছাদিত কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং বড়বিলের হাঁটু পরিমাণ পানিতে মিলেছে ১৪ কেজি ওজনের একটি চিতল মাছ। সচরাচর এই বিলে বা এতদাঞ্চলের পুকুর কিংবা জলাশয়ে এই প্রজাতির মাছের তেমন দেখা মেলে না। ১২ মার্চ. শনিবার সকালে ওই বিলের শেওলা-শাপলা সরিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ এত বড় চিতল মাছ দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যান মৎস্যজীবি মো. এরশাদ। কিন্তু না, সাহস করে সেটিকে জাপটে ধরে শেওলার ওপর ছুঁড়ে ফেলার পর দেখতে পান সেটি একটি চিতল মাছ।

মৎস্যজীবি মো. এরশাদ দৈনিক চকরিয়া নিউজকে জানান, কয়েকবছর ধরে এখানে-ওখানে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। কিন্তু ইতোপূর্বে এত বড় মাছ আর ধরেননি। সেই মাছটি ধরার পর তিনি খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমাদের এখানে চিতল প্রজাতির মাছ একদম পাওয়া যায় না। মাছটি ধরার পর সোজা বাজারে গিয়ে বাটখারায় তুলে দেখি এটির ওজন ১৪ কেজি। পরে সাড়ে ৬শ টাকা দরে একজনকে মাছটি বিক্রি করে দিয়েছি।

এই বিষয়ে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, ইউনিয়নের বড় বিলটি ঐতিহ্যবাহী। এই বিলটি বছরের সিংহভাগ সময় জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত এবং শেওলা-শাপলায় আচ্ছাদিত থাকে। বছরে মাত্র শুষ্ক মৌসুমে কিছু অংশ জমিতে চাষাবাদ হলেও বাকী অংশ হাঁটু পরিমাণ পানিতে তলিয়ে থাকে। আর সেখানে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন স্থানীয় মৎস্যজীবিরা।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে ইউনিয়নের কালা সিকদার পাড়ার এরশাদ নামের এক মৎস্যজীবি সেই বড় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে পেয়ে যান ১৪ কেজি ওজনের চিতল মাছ। এতে আমিও রীতিমতো অবাক হয়েছি। কারণ এই প্রজাতির মাছ আমাদের এই অঞ্চলে একেবারেই পাওয়া যায় না। হয়তো বন্যার সময় পানির সাথে কোন এলাকা থেকে সেই চিতল মাছটি বড় বিলে ঢুকে পড়েছিল। আর সেটি দীর্ঘসময় ধরে বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। হয়তো এই বিলে আরো চিতল মাছ থাকতে পারে।

পাঠকের মতামত: